মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে মান্নান চৌধুরী অনেকটাই পছন্দের তালিকায়

শান্তুনু হাসান খান।।
আসন্ন উপজেলা পরিষদের নির্বাচন তফসিল ঘোষণার পর সম্ভাব্য প্রার্থীরা এবার নড়েচড়ে বসছেন। সারা দেশে ৪৮১টি উপজেলায় ৪ ধাপে নির্বাচন সমাপ্ত করতে চায় সি.ই.সি-স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে। শহরের অনেক জায়গাতে ইভিএম এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবার প্রার্থীরা রঙ্গিন পোষ্টার ছাপতে পারবেন। পাশাপাশি ফেইজবুক, ইউটিউব সহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে তাঁরা ব্যক্তিগত প্রচারনা চালাতে পারবেন।

এছাড়াও ২০০ জনের প্রতিস্বাক্ষরের বিষয়টি বাতিল করা হয়েছে। ১৭ই এপ্রিল প্রথম ধাপের নির্বাচনের জন্য প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন এবং নির্বাচন হবে ৮ই মে। সেই আলোকে এবার কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, পুরুষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছনে।

মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন সোমবার চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সদ্য পদত্যাগ করা নাথের পেটুয়ার চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল মান্নান চৌধুরী, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মোসাঃ আফরোজা কুসুম মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, মোঃ মনিরুজ্জামান, শিরিন আক্তার ও বিলকিছ আক্তার মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

এদিকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচনের মাঠে থাকছেন নাথের পেটুয়ার সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান চৌধুরী। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, আমার অতীতের পলিটিক্যাল ক্যারিয়ার সামাজিক কর্মকান্ডের উপর বিশ্লেষণ করে জনগন এবার আমাকে জয়যুক্ত করবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আর সেই বিশ্বাসের উপরে ভর করে আমি নির্বাচনের মাঠকে সুন্দর করে গুছিয়ে রেখেছি। সুষ্ঠু এবং অবাদ নির্বাচন হলে ইনশাআল্লাহ- আমি উঠে আসবো। এই নির্বাচন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতোই প্রতিফলন ঘটবে বলে আশা করছি।

৬৮ বছরের আব্দুল মান্নান চৌধুরী বেড়ে উঠেছেন তাঁর এলাকাতেই। মুক্তিযোদ্ধা নুরু মিয়ার সন্তান হিসেবে তার একটা বাড়তি সুনাম রয়েছে। পড়াশুনা করেছেন কুমিল্লাতেই, পরবর্তী সময় ঢাকা জগন্নাথ থেকে গ্রেজুয়েশন সমাপ্ত করেন। উচ্চ শিক্ষিত মানুষ হিসেবে তার একটা গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে এলাকাতে। ছাত্রাবস্থায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করতেন। মাঝখানে তিনি নাথের পেটুয়ার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি এবার উপজেলা পরিষদের উন্নয়নের হাল ধরতে চান। তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে এলাকার সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড তথা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল কনসেপ্টকে বাস্তবায়ন করে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মানে কাজ করার চেষ্টা করে যাবো আমার সীমাবদ্ধতার মধ্য থেকেই। পাশাপশি যুব সম্প্রদায়কে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করবো আমার মাননীয় এমপি মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় এবং পৃষ্ঠপোষকতায়।

মান্নান চৌধুরী বলেন, হত দরিদ্র নারী সমাজের উন্নয়নের জন্য কাজ করার ইচ্ছা রাখি। পরিশেষে তিনি বলেন, এলাকায় মাদক, সন্ত্রাস, চাদাবাজী সহ কিশোর গ্যাংয়ের অশুভ তৎপরাকে সমাজ থেকে উপড়ে ফেলার চেষ্টা করবো – সেটা অবশ্যই জনগণকে সম্পৃক্ত করে।

এদিকে ৮ই মে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে নানা প্রকার গুনজন সৃষ্টি করতে চান একটি মহল। সে বিষয়গুলো তিনি এরিয়ে যান। বললেন বর্তমান সরকারের আইন-শৃঙ্খলা ও প্রশাসন নিশ্চই সুন্দর একটি নির্বাচন উপহার দিবেন।

মনোহরগঞ্জের ১১টি ইউনিয়নের প্রায় ২ লাখ ১৭ হাজার ভোটার। এই মাঝে অন্তত ১৮% তরুন ও নবীন ভোটার রয়েছেন, যারা আগামীতে মান্নান চৌধুরীকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচন করতে এখন থেকে তার পিছনে একাট্টা।
উপজেলা গঠনের পর ৪র্থ বারের মতো এখানে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

বিগত ২০০৯ ও ২০১৪ তে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন বিএনপি প্যানেলের। ২০১৮ তে আওয়ামীলীগ পুনরায় এ আসনে পাকা-পোক্ত করে ঘুড়ে দাড়ায়। এবার রাজনৈতিক কোন প্রভাব ছাড়াই যার যার ব্যাক্তিগত ইমেজে উঠে আসবে এমনটাই প্রত্যাশা করে এলাকার জনগণ। সে দৃষ্টি কোন থেকে মান্নান চৌধুরী অনেকটাই পজেটিভ।

প্রার্থী আফরুজা কুসুমের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে এড়িয়ে গেছেন। তিনি বলেন, দলীয় ফোরাম থেকে অনুমতি নিয়ে আপনাদের সাথে কথা বলবো। অপর প্রার্থী চেয়ারম্যান জাকির হোসেন নিজের ব্যস্ততা দেখিয়ে অনেক দিন ফোনে কথা বলতে চাননি। দেখছি, দেখবো কিভাবে কথা বলা যায় মিডিয়ার কাছে।

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  

You cannot copy content of this page